
লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক

জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে এই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণে সহায়তা চাওয়ার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকায় বসবাস করেন নিয়াজ উদ্দিন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সম্প্রতি পুলিশের কাছে তথ্য দিতে হয়েছে তাকে। চরচাকে তিনি বলেন, “আমি একই বাসায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে থাকি। গত আগস্টে আমার কাছে তথ্য চেয়ে পুলিশ একটি ফরম পাঠিয়েছে। এর আগেও দু-তিনবার এই তথ্য দিয়েছি

“এখন পুলিশ–র্যাব–সেনাবাহিনী সব আমার পকেটে। আমার ইশারায় অভিযান হয়, আমিই জেনেভা ক্যাম্পের সুলতান।” কথাটা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের অঘোষিত ‘সুলতান’ পিচ্চি রাজার। কে এই পিচ্চি রাজা, যিনি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স থেকে নিজেকে ‘সুলতান’ ঘোষণার মতো সদম্ভ ভাষ্য দিতে পারেন?

গত ১৭ বছর ধরে ক্যাম্পে চলা মাদক কারবারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা বুনিয়া সোহেলের সঙ্গে সঙ্গে তার সাম্রাজ্যও এখন আইসিইউতে। ক্যাম্পের মাদক সাম্রাজ্যের দখল এখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন গ্রুপের। সাম্রাজ্যই বটে।

বস্তিগুলোতে আগুন লাগার মূল কারণ হচ্ছে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক সংযোগ, নিয়ম না মেনে সিলিন্ডার বা লাইন গ্যাসের অনিরাপদ ব্যবহার, বিড়ি-সিগারেট, মশার কয়েল ও খোলা বাতির ব্যবহার, উন্মুক্ত চুলা ও হিটারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার। উদাসীনতা ও অসাবধানতা এই ঝুঁকি আরও বাড়ায়

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে, পুড়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার ঘর। তবে স্থানীয়দের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। রাতারাতি চিরচেনা এলাকা পরিণত হয়েছে ছাইয়ের শহরে।